কমাতে লেবু-মধু পানীয়
 in Diet Tips, Fitness, Healthy Living, Healthy Recipe, Losing Weight Tags: Diet Tips, Healthy Living, Losing weight, Metabolism
কেন ওজন কমায় ?
মধুতে যদিও চিনি থাকে, কিন্তু এতে ভিটামিন ও মিনারেল থাকার কারণে এটি সাধারণ চিনির মত ওজন না বাড়িয়ে, কমায়|  কারণ সাধারণ চিনি হজম করতে আমাদের শরীর নিজের থেকে ভিটামিন ও মিনারেল খরচ করে, ফলে এই সব পুষ্টি উপাদানের  ঘাটতি হয়| এই  সব উপাদান ফ্যাট ও cholesterol কমাতে বা ভাঙ্গতে সাহায্য করে|  ফলে যখন আমরা বেশি চিনি খাই, তখন অধিক ক্যালরি শরীরে জমা ছাড়াও এইসব পুষ্টি উপাদানের চিনি হজম করতে অতিরিক্ত খরচ হওয়ায় এই সব পুষ্টি উপাদানের  ঘাটতি হয়| তাই ওজন বাড়তে পারে|  কিন্তু মধুতে এসব উপাদান থাকার ফলে এগুলো হজমে সহায়ক এবং ফ্যাট ও cholesterol কমায় | তাই এই পানীয় ওজন কমায় |তাছাড়া সকালে উঠেই  শরীর যদি পানি জাতীয় কিছু পায়, তবে তা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে| ফলে একই রকম শারীরিক পরিশ্রম করেও আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধির কারণে ওজন কমতে পারে|
লেবু-মধু পানীয় বানানোর প্রণালী:
এক গ্লাস হালকা বা কুসুম গরম পানি, অর্ধেক/২ চা চামচ লেবুর রস, এক চা চামচ মধু | গরম পানিতে লেবু ও মধু মিশিয়ে পান করুন লেবু-মধু পানীয়| আপনি চাইলে এর সাথে সবুজ চা (Green Tea) মেশাতে পারেন|
লেবু-মধু পানীয়
লক্ষ্য রাখবেন:
- আগে পানি হালকা গরম করে, তারপর তাতে লেবু ও মধু মেশাবেন| মধু কখনই গরম করতে যাবেন না|
 
- যদি ঠান্ডা পানিতে এটি পান করেন, তবে বিপরীত ফল হবে, মানে আপনার ওজন বাড়বে|
 
লেবু-মধু পানীয়র উপকারিতা:
- এই পানীয় শরীর থেকে টক্সিন বের (detoxify) করে| শরীরের ভেতরের নালী গুলোর সমস্ত ময়লা বের করে দেয়
 - metabolism/হজম শক্তি বাড়ায়, ফলে ওজন কমে
 - ঠান্ডা লাগলে এই পানীয় কফ বের করতে সাহায্য করে| এবং ঠান্ডা লাগলে, গলা ব্যাথা করলেও এটি উপকারী |
 - এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
 - শরীরের শক্তি বাড়ায়, অলসতা কমায়
 - কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
 
মধুর উপকারিতা:
মধুতে glucose ও fructose আলাদা ভাবে থাকে,কিন্তু চিনিতে তা একসাথে থাকে|fructose  তাড়াতাড়ি  glucose এর মত শরীরে ক্যালরি হিসাবে জমা হয় না| তাই চিনির মত মধু সহজে ক্যালরি জমা করে না| ফলে অল্প মধু খেলেও ওজন বাড়ার সম্ভাবনা কম|
- মধু শরীরকে রিলাক্স করে, মনকে প্রফুল্ল রাখতে সাহায্য করে এবং সহজে ঘুম আনতে সাহায্য করে
 - মধু একটি প্রাকৃতিক এন্টি বায়োটিক, যা শরীরের সমস্ত ক্ষতিকর bacteria কে মেরে ফেলে infection দূর করে | ফলে শরীরের কাজ করার প্রণালী উন্নত হয়, এবং হেলদি থাকে
 - মধু হজমে সহায়ক | তাই বেশি খাবার খাওয়ার পরে অল্প মধু খেতে পারেন
 - মধু ফ্যাট কমায়, ফলে ওজন কমে
 - মধু natural sweetener| তাই মধু সহজে হজম হয়|
 - চোখের জন্য ভালো
 - গলার স্বর সুন্দর করে
 - শরীরের ক্ষত দ্রুত সারায়
 - ulcer সারাতে সাহায্য করে
 
- বিভিন্ন রকম রোগ সারায়
 - নালী গুলো পরিষ্কার করে
 - ঠান্ডা লাগলে, জ্বর, গলা ব্যাথায় ভালো ওষুধ হিসাবে কাজ করে
 - মধু Anti-oxidant| ত্বকের রং ও ত্বক সুন্দর করে| ত্বকের ভাজ পড়া ও বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে|
 - বুদ্ধিবৃত্তি বাড়ায়
 - শরীরের সামগ্রিক শক্তি বাড়ায় ও তারুণ্য বাড়ায় |
 
লেবুর উপকারিতা:
- লেবুতে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি, যা antiseptic ও ঠান্ডা লাগা প্রতিরোধ করে
 - এছাড়া লেবুতে থাকে Calcium, Potassium, Phosphorus, Magnesium , যার কারণে হাঁড়, ও দাঁত শক্ত হয়
 - লেবুর এই উপাদান গুলো টনসিল ও urine infection প্রতিরোধ করে
 - এছাড়া লেবুর ভিটামিন সি ক্যান্সারের সেল গঠন প্রতিরোধ করে
 - লেবু বুক জ্বালা, ulcer সারাতে সাহায্য করে
 - Arthritis এর রোগীদের জন্য ভালো |কারণ লেবু diuretic |
 
- লেবু শরীরের ক্ষতিকর bacteria গুলোকে ধবসংশ করে
 - লেবু antioxidant ও anti-aging
 - তাই ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি ত্বক পরিষ্কার রাখে, Acne দূর করে| ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে| Black heads ও ত্বকের ভাজ পড়া কমায়
 - লেবু ওজন কমাতে সাহায্য করে
 - লেবু হজমে সহায়ক ও হজমের সমস্যা দূর করে
 - কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
 - শরীরের ভিতরের toxin দূর করে, অন্ত্র নালী, Liver ও পুরা শরীরকে পরিষ্কার রাখে
 - পেট ফুলা (bloating) ও flatulence এর সমস্যা কমায়
 - রক্ত পরিশোধন করে
 - ঠান্ডা লাগলে, জ্বর, গলা ব্যাথায় ভালো ওষুধ হিসাবে কাজ করে|
 - শ্বাস কষ্ট ,হাপানি হলে ভালো কাজ করে|
 - শ্বাস নালীর ও গলার infection সারাতে সাহায্য করে
 
কখন খাবেন?
সাধারণত সকালে উঠেই প্রথম পানীয় হিসাবে খালি পেটে এটি খাওয়া হয়| এর কিছুক্ষণ পরে সকালের নাস্তা খেতে পারেন|
সাবধানতা :
- যাদের gastric এর সমস্যা আছে তারা অবশ্যই এটি খালি পেটে খাবেন না | কারণ লেবু acidic| তাই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে এটি খাবেন|
 - তাছাড়া লেবুর acid দাঁতের enamel এর জন্য ক্ষতিকর, তাই এই পানীয় খাবার সাথে সাথে কুলি করবেন, অথবা পানি খাবেন|
 
একটা কথা মনে রাখবেন, ওজন কমানোর জন্য এই পানীয় শুধুই সহায়ক মাত্র| সম্পূর্ণ ওজন কমানোর প্রক্রিয়াতে অবশ্যই থাকবে হেলদি/ balanced diet, নিয়মিত শরীর চর্চা এবং হেলদি জীবন যাত্রা